+8802 9881265 ext.5755

পরামর্শের জন্য কল করুন

কেন বিপিএল স্বতন্ত্র
বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা অনৈতিক অভিবাসন এর চর্চা নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করছি

বিআইএসডি (স্কিলিং)

এডিবি-র প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী অভিবাসী শ্রমিকদের ৬৭% অদক্ষ। এটাই তাদের কম মজুরি ও দুর্বল কর্মী হিসেবে মূল্যায়নের প্রধান কারণ। ব্র্যাক মানুষের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার বিকাশে বিশ্বাসী এবং এজন্যই ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন ইন্সিটিটিউট (বিআইএসডি) যাত্রা শুরু করেছে। এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষানবিশ, প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং এন্টারপ্রাইজ উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে সমন্বিত ও টেকসই বাজারের উন্নয়ন ঘটায়। 

২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক-আইএসডি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (বিটিইবি)-র নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান এবং  শহর ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত। প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মদক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং শোভন কর্মসংস্থান লাভে সহায়তা করে।  

অর্জনসমূহ

 ৮৩%  গ্র্যাজুয়েশন করার পর নিরাপদ চাকরি 

 ৪০%  শিক্ষার্থী নারী

 ২%  শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী

 

প্রগতি-মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার ঋণ (ভ্রমণব্যয় নির্বাহ করার জন্য ঋণ): 

অভিবাসনের জন্য যে ব্যয় তা মানুষ নানা উপায়ে জোগাড় করার চেষ্টা করে। কেউ তাদের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দেয় অথবা চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়, যা একসময় অভিবাসীর জন্য বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। অভিবাসীদের ব্যয় বহনের এই বোঝা কমানোর জন্য ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্স ২০১৫ সালে মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার ঋণ চালু করেছে।  

নির্দেশিকা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করা হয়। তবে ঋণ অনুমোদনের পূর্বে, যাচাইবাছাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, অভিবাসী নিয়মানুযায়ী বৈধ ভিসা ও কর্মসংস্থানের যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে দেশের বাইরে যাচ্ছে কি না। 

অর্জনসমূহ:

 ৬,২৪৬,৬৩০,০০০ টাকা অভিবাসন খাতে ৬,২৪৬,৬৩০,০০০ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে

২৯৪,৭৬৪ জন জন অভিবাসী ঋণ নিয়েছে

 

বিকাশ (রেমিটেন্স পাঠানো সহজ করে): 

বিকাশ (সহজে রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধা): অভিবাসীরা অনেকসময়ই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বৈধ প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জানে না এবং নিয়মবহির্ভূত চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে। এক্ষেত্রে সর্বাঙ্গীণ সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্র্যাক বিকাশ নামে একটি অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে অভিবাসীরা নিরাপদে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারে। বিকাশ বিশ্বব্যাপী তাৎক্ষণিক টাকা স্থানান্তরের নিশ্চয়তা দেয়। বিকাশ বিভিন্ন ব্যাংক ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং ট্রান্সফাস্টের মতো মানি ট্রান্সফার চ্যানেলগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছে যা বৈশ্বিকভাবে পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও কয়েকটি দেশের নির্দিষ্ট মানি ট্রান্সফার অপারেটর / এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গেও কাজ করছে। এটি তাৎক্ষণিক (২৪/৭) এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও গতি এনে দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিকাশ-গ্রাহকের কাছে প্রেরক তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠাতে পারে এবং গ্রাহকও দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা যে কোনো এজেন্টের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারে। যা আক্ষরিক অর্থে সহজ, দ্রুত ও বিশ্বস্ত লেনদেন নিশ্চিত করে। রেমিটেন্স পাওয়ার পর প্রাপক যে শুধু নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে তা নয়, বরং বিকাশের অন্য সেবাসমূহ যেমন, পি ২ পি, এয়ারটাইম রিচার্জ, মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট করতে পারবে।

অর্জনসমূহ: 

৩০ মিলিয়ন বিকাশ অ্যাকাউন্ট গ্রাহক

 ১৮০,০০০ এজেন্ট সারা বাংলাদেশে ১৮০,০০০ এজেন্ট

২০,০০০ টি লেনদেন  বিকাশের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ টি লেনদেন সম্পন্ন হয়

 

ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচি-পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা:

অসফল অভিবাসন এবং এর জন্য যে লজ্জা বা সংকোচ তা অনেক সময় সার্কুলার মাইগ্রেশনের জন্ম দেয়। বিদেশ  থেকে ফিরে আসা লোকদের মধ্যে সাধারণত যে বিষয়টি দেখা যায় তা হলো, তারা পরিবার ও জনগোষ্ঠীর সঙ্গে, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে মানিয়ে চলতে পারে না। এজন্যই ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচি বিদেশ থেকে ফিরে আসা  কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং, উদ্যোক্তা উন্নয়নে পুনরায় দক্ষতার প্রশিক্ষণ এবং সফল পুনরেকত্রীকরণের জন্য আর্থিক সংযোগে সহায়তা করা।

আমরা বিদেশফেরত উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি এবং তাদের দেশে ফিরে আসতে, ব্যবসার উন্নয়নে, অর্থনৈতিক সংযোগ তৈরিতে, পূর্বকাজের দক্ষতার স্বীকৃতিদান, পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে সফল ও মানসম্মত করার জন্য সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ে সাহায্য করে থাকি।   

 

কীভাবে পুনর্মিলনে সহায়তা করে

How-Reintegration-support-w

 

চিত্র: ব্র্যাক অভিবাসনের পুনর্মিলন সেবা

 

অর্জনসমূহ:

১০ টি পুনরেকত্রীকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত

৬২,৮৮৪ জন সম্ভাবনাময় অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে নিরাপদ অভিবাসন, রেমিটেন্স এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।

১০০  জন নারীকর্মীকে জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।